মহেশখালী থানা পুলিশের সাড়াশি অভিযানে ৩৭ গ্রেপ্তার। থানা সুত্রে জানা গেছে, ১লা মে থেকে ২৩ মে পর্যন্ত থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে হোয়ানক হরিয়ারছড়া এলাকার ৩ মাসের সাজা প্রাপ্ত আসামী তোফাইল আহমদ,মহিউদ্দিন, শাপলাপুর মৌলভী কাটাঁ এলাকার ৩মামলার ১৮ মাসের সাজা প্রাপ্ত আসামী শামসুল আলম, ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের ৩মাসের সাজা প্রাপ্ত আসামী মুজিবুল্লাহ, কুতুবজোম ঘোনাপাড়া এলাকার ৩মাসের সাজা প্রাপ্ত আসামী ফজলুল করিম সহ পুরো মহেশখালী থেকে বিভিন্ন মামলার ৩৬ জন কে গ্রেপ্তার করেছে অপরদিকে ২৩ মে বিকাল সাড়ে ৫টায় হোয়ানক কেরুনতলী নয়াপড়া এলাকার মো.ইসমাঈল কে ধৃত করেছে। এ ব্যাপারে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ বাবুল চন্দ্র বণিক জানান, সন্ত্রাসী যেই হউক কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা তাদের বিরোদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
###################
‘রুয়ানো’র তান্ডবে মহেশখালীতে প্রায় ১০০ কোটি টাকার মত ক্ষয়ক্ষতি
এম রমজান আলী মহেশখালী :::
রুয়ানোর তান্ডবে চিংড়ীঘের, লবন চাষ, পানের বরজ, ফসলী জমি, বাড়িঘর ও গাছপালা সহ প্রায় ১০০ কোটি টাকার মত ক্ষয়ক্ষতি খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি ‘রুয়ানো’র তান্ডবে বাড়িঘর লন্ডভন্ড-নি¤œাঞ্চল প্লাবিত-প্রায় ৫০০ পরিবার ঘরছাড়া হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। ২০ মে রাত ৮ টা থেকে শুরু হওয়া রুয়ানোর যাত্রা ধীর গতিতে চলতে চলতে শেষ পর্যন্ত ২১ মে সকাল ৮ টা থেকে রুয়ানো প্রবল গতিতে আঘাত হাতে যার দরুন অসংখ্য বাড়িঘর, গাছপালা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে। ‘রুয়ানো’র পাশাপাশি জড়ো হাওয়া বয়ে গেছে প্রবল বৃষ্টির ফলে মহেশখালীর নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে বিশেষ করে ধলঘাটা, মাতারবাড়ি, কুতুবজোম এবং কালারমারছড়া ও হোয়ানকের একাংশ, শাপলাপুরের জেমঘাট, বারিয়াপাড়া, ছোট মহেশখালীর উম্বনিয়া পাড়া, জালিয়াপাড়া, আহমদিয়া কাটাঁ, ঠাকুরতলা, তেলীপাড়া, পৌরসভার চরপাড়া, নিচের রাখাইন পাড়া সহ আরো বিভিন্ন জায়গা প্লাবিত হয়েছে। সেই জায়গায় বসবাসরত প্রায় ৫০০শত মত পরিবার গৃহহীন হয়ে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করেছে। মহেশখালীতে দায়িত্বরত উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম রাত ৭টার দিকে দেওয়া তথ্যমতে, এখনো পর্যন্ত হতাহতের ঘটনা ঘটেনি তবে নি¤œাঞ্চল পর্য্যাপ্ত পরিমানে প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত বাড়িঘরের লোকজনকে প্রশাসনিক ভাবে সাধ্যমতে সহযোগিতা করা হয়েছে। ধলঘাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম জানান, ধলঘাটায় প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তবে প্রাণহানির মত ঘটনা ঘটেনি। ধলঘাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হোছাইন জানান, ১৯৯১ সালে যে পরিমানে ধলঘাটায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল এবারে রুয়ানো তে তেমনি ভাবে ক্ষতি হয়েছে। মাতারবাড়ি এলাকার জনগন জানান, কয়লা তাপ বিদুৎ কেন্দ্র হওয়ায় মাতারবাড়ির জন্য কাল হয়ে দাড়িয়েছে। তাপ বিদুৎ কেন্দ্র হওয়াতে বেড়িঁবাধ খুলা ছিল সেই কারনে জোয়ারের পানিতে মাতারবাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।
##################
মহেশখালীতে ২য় শ্রেণীর কমকর্তা শাকিবের মাতব্বরিতে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তারা বেজায় অখুশি
নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ
মহেশখালীতে নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার তার পরবর্তী সম পর্য্যায়ের অফিসার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, প্রাণী সম্পদ হাসপাতালের কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার ভুমি ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট কোর্টের বিচারক। আরো ২য় শ্রেণীর অসংখ্য সিনিয়র কর্মকর্তা মহেশখালী উপজেলায় কর্মরত থাকলে ও একেবারে সর্ব কনিষ্ঠ ২য় শ্রেণীর কর্মকর্তা পিআইও শফিউল আলম শাকিবের এতই মাতব্বরি কারো পছন্দের নয়। মহেশখালী উপজেলায় প্রশাসনিক ও এনজিও সংস্থা সহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মিটিং,মিছিল হলে সব জায়গাতেই শাকিবের মাতব্বরি। সকল শ্রেণী পেশার লোকজনেরা বলাবলি করে টাকা পয়সার কাছে কি সকলে অন্ধ কেননা শাকিব একজন প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের অফিসার তার কাছে উপজেলা আর্থিক লেনাদেনা আছে বলে কি সবাই তার কাছে এতই জিম্মি। কোন মিছিল মিটিংয়ে শাকিবের এতই বকবকানি অতিথি ও উপস্থিত জনতা সকলে অতিষ্ঠ। শাকিব একজন ২য় শ্রেণীর কর্মকর্তা কিন্ত বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ করে থাকে সে একজন প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তা। রাজনৈতিক নেতারা বলেন, শাকিব একজন জামায়াত-শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী, দুধূর্ষ ক্যাডার, তার চাকুরী বাচাঁনোর জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি/সাধারন সম্পাদক, আওয়ামীলীগের এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র সহ সকলকে তেলেশমাতিতে ব্যস্ত থাকে।
পাঠকের মতামত: